কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা


 

কিসমিস হলো শুকনো আঙ্গুর। এটি কে ইংরেজিতে রেইসিনও বলা হয়। তার উৎসাহ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে ক্যালোরিয়া কিসমিস বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে উৎপাদিত হয় এবং এটি সরাসরি খাওয়া যায় ও বিভিন্ন খাদ্যে রান্নার সময় উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটা প্রাচীনকাল থেকে শক্তি ক্যালোরি চমৎকার উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

কিসমিস-ভিজিয়ে-খাওয়ার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা

পোস্ট সূচিপত্র :কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা



কিসমিস থেকে পাওয়া গ্লুকোজ

আমরা চিনি থেকে গ্লুকোজ পাই কিন্তু কিসমিস থেকে পাওয়া গ্লুকোজের  খাদ্যমান অনেক বেশি চিনি খেলে আমাদের শরীরে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে, কিন্তু কিসমিস থেকে পাওয়া গ্লুকোজ কোন ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে না।

কিসমিস-ভিজিয়ে-খাওয়ার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা

 

আরো পড়ুন: খেজুর খাওয়া ১০টি উপকারিতা 

কিশমিশ পানিতে ভিজিয়ে খাওয়া

আমাদের সরাসরি কিশমিশ গ্রহন করা  উচিত না। কিশমিশ পানিতে ভিজিয়ে তার পরে পানিসহ কিসমিস খাওয়া উচিত।এতে  পানিতে কিশমিশে গুরুত্বপূর্ন উপাদান যেমন লৌহ, ক্যালসিয়াম  বোরন ইত্যাদি মিশে যায়। এই পানি আমাদের রক্তকে পরিশুদ্ধ করে।

রক্ত উৎপাদনের প্রধান ভূমিকা

কিসমিস থেকে প্রাপ্ত লৌহ। আমাদের রক্ত উৎপাদনের প্রধান ভূমিকা পালন করে। বোরন আমাদের শরীরের হাড় গঠনে ভূমিকা পালন করে।যারা হাড় জনিত সমস্যায় ভুগছেন তারা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কিসমিস ভেজানো পানি খেতে পারেন।

রোগ প্রতিকার  ক্ষমতা

কিসমিস আমাদের ত্বককে করে মসৃণ। এছাড়া ক্যান্সার বা টিউমার জাতীয় রোগ থেকে রক্ষা করতে কিসমিসের ভূমিকা রয়েছে। খাদ্য বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন রক্তশূন্যতা কিংবা রক্ত ক্যান্সার দূর করতে কিসমিসের ভূমিকা পালন করে। 

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে 

 কোষ্ঠকাঠিন্য  রোগে আমরা অনেকেই প্রায় ভুগে থাকি। এই অতি কমন রোগটি নিরাময়ের জন্য প্রতিদিন সকালে কয়েক টুকরো কিসমিস পানিতে ভিজিয়ে খেতে পারেন কয়েদিনের মধ্যেই ফলাফল পেয়ে যাবেন। 

আরো পড়ুন:কলা খাওয়া ১০টি উপকারিতা 

ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে 

ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে কিসমিস ভালো বিকল্প হতে পারে। কিসমিসের রয়েছে ফাইবার জাত দীর্ঘক্ষণ পেটে ভরা রাখতে সাহায্য করে। তাহলে বারবার খাবার খাওয়া প্রবণতা কমে যায় এবং ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে। 

দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে 

কিসমিস চোখের যত্ন নেয়। কিসমিসে থাকা অ্যান্টি -অক্সিড্যান্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে  সাহায্য করে এবং বয়স জনিত চোখের সমস্যা ও প্রতিরোধ করে 

ত্বকের পুষ্টি যোগায় 

কিসমিসে থাকা ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের জন্য উপকারী। এসব উপাদান ত্বককে ফ্রি র ্যাডিক্যালের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তোলে


কিসমিস খাওয়ার নিয়ম 
কিসমিস-ভিজিয়ে-খাওয়ার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা

মিষ্টি জাতীয় খাদ্য যেমন পায়েস রান্না করার সময় আমরা কিসমিস ব্যবহার করি। আবার অনেকেই তো কিসমিস সরাসরি খেয়ে থাকেন। এই দুটি পদ্ধতিতে কিসমিস খাওয়া একেবারেই ভুল। 

আরো পড়ুন:কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা

আপনি যদি কয়েক টুকরো কিসমিস পানিতে ভিজিয়ে কিছুক্ষণ রেখে গ্রহণ করেন তবে কিসমিসের পুষ্টিগুণ বেড়ে যাবে। কিসমিস খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে কিসমিস গুলোকে কিছুক্ষণ যাবত বিশুদ্ধ পানিতে ভিজিয়ে খেতে হবে। 

কিসমিস খাওয়ার অপকারিতা 

এখন পর্যন্ত কিসমিস খাওয়ার কোন অপকরিতা পাওয়া যায়নি। কিসমিস অত্যন্ত মিষ্টি হওয়ায় এটিতে প্রচুর গ্লুকোজ রয়েছে। এই গ্লুকোজ আমাদের শরীরের শক্তি যোগায়। এছাড়া বিভিন্ন খনিজ যেমন লৌহ পটাশিয়াম পালিশিয়াম বোরণ ইত্যাদি ও আমাদের শরীরের জন্য অপরিহার্য। 

কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে কোন কিছুই আমাদের অতিরিক্ত বহন করা আমাদের শরীরের জন্য মঙ্গলজনক নয়। অর্থাৎ কেউ যদি বেশি পরিমাণ কিসমিস গ্রহণ করেন, সেক্ষেত্রে তার শরীরের বিরূপ প্রভাব দেখা দিতে পারে। 

পরিশেষে আমরা বলতে পারি, আমাদের  পোষ্টা পরে আপনার উপকার হবে


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পপুলার ড্রিম আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url