সজনে পাতার উপকারিতা কি
সজনে আমাদের দেশের একটি জনপ্রিয় সবজি। সজনে বিভিন্ন ভাবে রান্না করা হয়। এটির বৈজ্ঞানিক নাম Moringa oloeifera। সজনের পাশাপাশি সজনে পাতা অনেক উপকারীতা রয়েছে। গবেষকরা সজনে পাতাকে সুপারফুড বলে থাকেন।
সজনে পাতার মধ্যে রয়েছে বিপুল পরিমাণে খনিজ পদার্থ ও ভিটামিন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, এগুলো ছাড়া প্রোটিন ও কার্বন-ডাই-অক্সাইড আছে এতে অনেকগুলো পুষ্টি একসঙ্গে থাকার কারণে এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
পেজ সূচিপাত্রঃ সজনে পাতার উপকারিতা কি
সজনে পাতার পুষ্টিগুণ
- প্রতি গ্রাম সজনে পাতায় একটি কমলার চেয়ে সাত গুণ বেশি ভিটামিন সি, দুধের চেয়ে চার গুণ বেশি ক্যালসিয়াম ও দুই বেশি প্রোটিন গাজরের চেয়ে চার গুণ বেশি ভিটামিন এবং কলার যে তিনগুণ বেশি পটাশিয়াম বিদ্যমান, ফলে এটি অন্ধত্ব রক্তস্বল্পতা সহ বিভিন্ন ভিটামিন ঘাটতি জনিত রোগের বিরুদ্ধে বিশেষ হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে।
- সজনে পাতায় কিছু ঔষধি গুন আছে এবং পরশুদিন গুণের কারণে আর্থ্রাইটিস নিরাময়ে এটি দারুন কার্যকর ইতিমধ্যেই আমরা এক্সপেরিমেন্ট করেছি। যাদের হাঁটু ব্যথা আছে সজনে পাতার জুস খান, পাতার ভর্তা খান, অথবা গুরা খান ৬ মাস খান, দেখেন আপনার আর্থ্রাইটিস কি অবস্থা হয়।
আরে পড়ুন ঃ কি ভাবে পেটের চবি কমানো যায়
- প্রতি ১০০ গ্রাম সজনে পাতা থেকে পাওয়া যায়
- শর্করা ৮.২৮ গ্রাম
- স্নেহ ১.৪০ গ্রাম
- প্রোটিন ৯.৪০ g
- ক্যালসিয়াম ১৮৫ মিলিগ্রাম
- লৌহ ৪.০০ মিলিগ্রাম
- ম্যাগনেসিয়াম ১৪৭ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন এ প্রায় ৩৭৮ মাইক্রো গ্রাম
- ভিটামিন সি ৫১.৭ মিলিগ্রাম
সজনে পাতার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
- সজনে পাতা গুড়া বা মরিঙ্গায় ভিটামিন সি এর পর্যাপ্ততা রয়েছে যা রোগে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বেশ কার্যকর। এই ভিটামিন শ্বেত রক্তকণিকা উৎপাদনে সাহায্য করে যা সংক্রমণ ও রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
- হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে মরিঙ্গা ফাইবারের একটি চমৎকার উৎস, যা হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে। এমন কি তন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে এবং অস্থির জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধির সহায়তা করে। মরিঙ্গাতে প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আলসার এবং গ্র্যাস্ট্রাইটিসের মতো হজম সংক্রান্ত সমস্যা গুলিকে প্রশমিত করতে পারে।
- মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেনল রয়েছে মরিঙ্গাতে।যা মস্তিষ্কের কোষকে ফ্রী র্যাডিকেল দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। উদ্ভিদের নিউরো প্রোটেক্টিভ বৈশিষ্ট্য রয়েছে এতে ফলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ায় নিয়মিত মরিঙ্গা সেবন করলে।
- ত্বক ভালো রাখতে মরিঙ্গায় ভিটামিন এ রয়েছে যা স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য কার্যকর পুষ্টি উপাদান। উদ্ভিটিতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ব্রণ এবং অন্যান্য ত্বকের সমস্যা প্রতিরোধ করতে পারে। ময়েশ্চারাইজার এবং অ্যান্টি এজিং বৈশিষ্ট্যের কারণে মরিঙ্গা তেল ত্বকচর্চা নানা পণ্য ব্যবহার করা হয়।
- >হর মনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। পুরুষদের টেস্টিাস্টরন হরমোন বাড়াতে সাহায্য করে
- >প্রদাহনাশক হিসাবে কাজ করে অর্থাৎ শরীরের বিভিন্ন ব্যাথা দূর করে
- >পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা যেমন খাবারে সহজে হজম না হওয়া পেটের অতিরিক্ত গ্যাস জমে থাকা বুক জ্বালাপোড়া ইত্যাদি সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
- >হাড় ও দাঁতের সুরক্ষা ভূমিকা রাখে সজনে পাতা প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে যা দাঁত ও হাড়ের গঠনের অত্যাবশ্যকীয় করণীয় উপাদান।
- >কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে
- >সজনে পাতাতে রয়েছে ভিটামিন সি যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি ত্বকের বয়সের ছাপ দ্রুত পড়তে দেয় না।
- >সজনে পাতায় রয়েছে ভিটামিন এ যা চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে।
- >সজনে পাতায় প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং এন্টি ব্যাকটেরিয়া যৌথ রয়েছে। ত্বকের সংক্রমণ ও মূত্র নালির সংক্রমণ এবং হজমের সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে এটি।
আরে পড়ুনঃসুকনো খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
সজনে পাতার উপকারিতা চুলের জন্য
সজনে পাতার উপকারিতা চুলের জন্য জেনে নিন।এতে আপনি আপনার চুলের যাবতীয় সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন । সজনে পাতা ব্যবহার করার ফলে চুলের স্কাল্পে চুলকানি সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারবেন।সজনে পাতায় অ্যামিনো এসিড থাকার কারণে এটি আপনার চুলকে মজবুত করতে সহায়তা প্রদান করে থাকে। যারা চুল ঘন করতে যাচ্ছেন। কিন্তু কোন উপায় পাচ্ছেন না!
তারা সজনে পাতা ব্যবহার করতে পারেন। কেননা এটি চুলকে ঘন করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে আর এটি হয় মূলত ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসডি থাকার কারণে। আইরন ভিটামিন এ জিংক থাকার কারণে এটা চুল লম্বা করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। ভিটামিন ই এর অভাবে চুল পড়ে যায় এর জন্য আপনি সজনে পাতা ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে আপনার চুল পড়ার সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
চলুন এখন দেখে আসি আপনি সজনে পাতার হেয়ার প্যাক কিভাবে বানাবেন এজন্য আপনাকে প্রথমে দুই চা চামচ সাজনা পাতার গুড়ো নিতে হবে। এবার আপনি দুই চামচ আমন্ড ওয়েল তার মধ্যে মিশন। আর মিশন এক চামচ এলোভেরা জেল। সবগুলো উপাদানকে একসাথে মিশ্রিত করার পরে সজনে পাতায় হেয়ার ব্যাগ তৈরি হয়ে যাবে। এবার আপনি চুলের গোড়ায় এটি ভালোভাবে লাগিয়ে নিবেন।
তারপরে আধাঘন্টা এভাবে রেখে ধুয়ে ফেলবেন।আর এইভাবে আপনি চুলের যত্নে সজনে পাতাকে ব্যবহার করতে পারবেন।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে সজনে পাতা
ডায়াবেটিসের সজনে পাতার উপকারিতা কি? এ ধরনের প্রশ্ন প্রায় শুনতে পাওয়া যায়। চলুন আজ এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসি। সজনে পাতা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সজনে পাতার রক্তের শর্করা মাত্রা কমিয়ে দিয়ে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে। আর এটি করার জন্য প্রধান ভূমিকা রাখে ক্রোলোজেনিক এসিড। সজনে পাতা এন্টি অক্সিডেন্ট থাকার কারণে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে।
ডায়াবেটিস হওয়ার জন্য রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা দায়ী। সজনে পাতার রক্তের গ্রুপ ওজন মাত্রা প্রতিরোধ করে ডায়াবেটিস হওয়ার থেকে মুক্তি দিয়ে থাকে। আপনি আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিয়মিত ৫০ গ্রাম যদি সজনে পাতা খান তবে আপনার ডায়াবেটিস খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এছাড়াও আপনি যদি সজনে পাতার চা পান করেন তবে কোলেস্টরেলের মাত্ররাও খুব সহজে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। যেটি ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়তা ভূমিকা পালন করে তাই আপনি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিয়মিত সজনে পাতা খেতে পারেন।
সজনে গাছের বৈজ্ঞানিক নাম মরিঙ্গা অলিফেরা সজিনার মূল গাছ ছাল ফুল ফল বীজ পাতা সবকিছুতেই মহাঔষধি গুন বিদ্যমান এর প্রধান ঔষধি রাসায়নিক পদার্থ হচ্ছে বিটা-সিটোস্টেরোল, এক্যালয়েডস-মোরিনাজিন। আর ফুলে আছে জীবনুনাশক টিরিগোজপারমিন। এর মধ্যে আছে ভিটামিন এ, বি, সি, প্রোটিন ও চর্বি জাতীয় পদার্থ, কার্বোহাইড্রেট ইত্যাদি।
- .ডায়াবেটিস রোগীর কাঁচা সজনে পাতার উপকারিতা অনেক। সজনে পাতা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে খুব কার্যকরী ভূমিকা রাখ। কারণ সজনে পাতায় এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যার রক্তে সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে একজন মানুষের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
- .এবং সজনে পাতায় কিন্তু বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ থাকে যার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে এজন্য সজনে পাতা একজন ডায়াবেটিস রোগীর জন্য খুব কার্যকরী।
- .সজনে পাতায় প্রচুর পরিমাণ এসিড রয়েছে এবং সজনে পাতায় এসেনসিয়াল এমিনো এসিড রয়েছে আটটি। এবং অ্যাসকরবিক এসিড রয়েছে যা একজন মানুষের শরীরে ইনসুলিন নিঃসরন বাড়ায় এবং এর জন্য রক্তের শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে থাকে।
- .এজন্য যারা ডায়াবেটিসের আক্রান্ত তাদের খাদ্য তালিকা যদি প্রতিদিন ৫০ গ্রাম সজনে পাতা যোগ করতে পারে তাহলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খুব কার্যকরী ফল পাবে। এবং সজনে পাতায় চা করে খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীর জন্য আদর্শ তবে পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন।
দুধের প্রায় সমান পুষ্টি সজনে পাতার
এটি সজনে পাতা যদি তুলনা করেন কোন খাবারের সাথে তাহলে আমরা সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি খাবারের সাথে তুলনা করতে পারি। সেটি হচ্ছে গরুর দুধ বিজ্ঞানীরা বলেছেন গরুর দুধের পুষ্টি এবং সজনে পাতার পুষ্টি অলমোস্ট কাছাকাছি।
আমরা উপমহাদেশে বা বাংলাদেশের গরুর দুধ কেন খায়? কিসের জন্য খায়? মূলত কি লক্ষ্যে খায়? গরুর দুধ আমরা খাই মূলত ক্যালসিয়ামের জন্য, প্রোটিনের জন্য, আমিষের জন্য, গরুর দুধ খেয়ে আমরা বলি এটা একটা সুষম খাবার।
গরুর দুধ এবং সজনে পাতার মধ্যে পুষ্টিগত কোনো পার্থক্য নাই, গরুর দুধ যা আছে সজনে পাতাতেও তা আছে, যে লক্ষে আমরা মূলত গরুর দুধ খাই সে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম আছে সজনে পাতায়। পর্যাপ্ত আমিশও আছে।
সজনে পাতায় লেবুর চেয়ে ৭ গুণ বেশি ভিটামিন সি দুধের চেয়ে চার গুণ বেশি ক্যালসিয়াম এবং ডিমের চেয়ে দুই গুণ বেশি প্রোটিন রয়েছে। অন্ধুত্ব দূর করতে সজিনা মুখ্য ভূমিকা পালন করে কেননা এটা গাজরের চেয়ে চার গুণ বেশি ভিটামিন এর ধারন করে। অন্যান্য সাগের চেয়ে ২৫ গুন বেশি আয়রন থাকা এটা অ্যানিমিয়া ও প্রতিরোধক হিসেবে কার্যকরী
সজনে পাতার ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে এতে ৯২ ধরনের পুষ্টি উপাদান ৪৬ ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট 18 টি অ্যানিমিয়া এসিড এবং আটটি অধ্যাবসকারী অ্যানোমিয়া এসিড বিদ্যামান
অনেকের দাঁতের মাড়ির সমস্যায় ভুগতে ভোগে থাকে এছাড়া দাঁতের গোড়া থেকে রক্ত পোড়া এবং মাড়ি ফুলে যাওয়া সমস্যায় পড়ে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সজনে পাতা 1 থেকে 2 মগ পানিতে ফুটিয়ে নিয়ে সেই পানি দিয়ে ভালো করে প্রতিদিন কুলু কুচা করলে এতে মাড়ির সকল সমস্যার সমাধান হবে
সজনে পাতার রস খাওয়ালে শ্বাসকষ্ট সরে ও হেক্স কি ওটা বন্ধ হয় তাছাড়া পাতাকে অনেকক্ষণ সিদ্ধ করে তা থেকে যে ঘন রস পাওয়া যায় তার সাথে হিং (এক ধরনের বৃক্ষ বিশেষ) ও শুকনো আদা গুঁড়া মিশিয়ে খাওয়ালে পেটের গ্যাস বেরিয়ে যায় যা হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
সাজনা ফুল শাকের মতো রান্না করে বসন্তকালে খেলে বসন্ত প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে ভালো এছাড়া সর্দি কাশিতে কার্যকারিতা কমে গেলে এবং কৃমিনাশক হিসেবে সজিনা ব্যবহার করা হয়।
সজনে পাতা কিভাবে খাবেন
আমরা মনে করি যে ফুল সিজিনে সবচেয়ে উত্তম উপায় হচ্ছে এটিকে আপনি জুস করে খাবেন। কিছু সজনে পাতা নিন ভালো করে পরিষ্কার করে নিয়ে এটাকে ব্যালেন্ডার এ নিন, কিছু পানি যোগ করে টেস্ট এর জন্য কিছু আদা, কিছু জিরা, একটু বিট লবণ দিতে পারেন। ভালো করে ব্লেন্ড করেন। এরপর ছেকে নিন। ছেকে নিয়ে খাওয়ার সময় একটু মধু দিয়ে খেয়ে নিন। পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ জুসটি আপনার খাওয়া হয়ে গেল।
যদি আপনার জুস বানাতে ঝামেলা হয় অথবা সব দিন যদি জুস খেতে না পারেন ভর্তা খান, তবে এটা কাঁচা হলে বেস্ট, যখন আপনি সিদ্ধ করলেন এই যে নানাবিধ যে উপাদান গুলো আছে এটি নষ্ট হয়ে যেতে থাকবে। সেজন্য কাঁচা পাতা ভালো করে বেটে নিয়ে এটাকে টেস্টি করার জন্য যা যা লাগে সেখানে আপনি রসুন দেন, পেঁয়াজ দেন,আদা দেন, মরিচ দেন, যা যা দিলে টেস্টি হয় দেন তারপর আপনি খান।
অফ সিজনে গুড়া সজনে পাতাকে আপনি সিজনে ভালো করে রোদে শুকান। শুকানোর পর এটাকে ক্রাশ করে ফেলেন ৬ মাস এটি চমৎকার থাকবে। এবং এক থেকে দুই চা চামচ সজনে পাতা যথেষ্ট আপনার পুষ্টির জন্য। তাই আমরা বলব যে নিজের দেশের এই অ্যাভেইলেবল এই পাতাটিকে অবহেলা করবেন না।
সজনে পাতা নিয়ে ভুল ধারণা
সজনে পাতার গুনাগুন সম্পর্কে ইন্টারনেট অনেক তথ্য রয়েছে যেখানে প্রায় বাড়িয়ে বলা হয়েছে। যেমন আপনি হয়তো দেখে থাকবেন অথবা শুনেছেন যে ১০০ গ্রাম সজনে পাতা থেকে যে পরিমাণ ভিটামিন সি পাওয়া যায় তা সাতটি কমলার সমান। আবার সজনে পাতায় এত বেশি পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে, যা কলার তুলনায়১৫ গুন বেশি এবং দুধের চেয়ে ৪ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম রয়েছে সজনে পাতার মধ্যে । তো চলুন এই তথ্যগুলোর সত্যতা নিশ্চিত করা যাক।
একইভাবে সজনে পাতার মধ্যে ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম রয়েছে যথাক্রমে ১৮৫ মিলিগ্রাম ও ৩৩৭ মিলিগ্রাম পক্ষান্তরে ১০০ গ্রাম অথবা ১০০ মিলিলিটার দুধ থেকে ১২৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। তুলনায় সামান্য কম তবে তা ৪ গুণ নয়। আর ১০০ গ্রাম কলা থেকে পটাশিয়াম পাওয়া যায় ৩৫৮ মিলিগ্রাম যা সজনে পাতার চেয়ে বেশি।
সজনে পাতা নিঃসন্দেহে একটি পুষ্টিকর খাবার। তবে তা অন্যান্য সব ধরনের পুষ্টিকর খাবার ছড়িয়ে যাবে এমনটি নয়। পথ্য বা পুষ্টিকর খাবার হিসেবে মাঝেমধ্যে এটি খেতে পারেন তবে অতিরিক্ত পরিমাণে নয়।
লেখকদের শেষ কথা
সজনে পাতার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আজকের এই পোস্টটিত। আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে আমাদের এই পোস্টটি পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি সজনে পাতা উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন
এই পোস্টটি থেকে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং পোস্ট যদি আপনি নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে আমাদের ওয়েবসাইটে ফলো করতে হবে আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্ট অবশ্যই সেই পর্যন্ত আমাদের সঙ্গেই থাকুন।
পপুলার ড্রিম আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url