ক্যান্সার কি? ক্যান্সারের চিকিৎসা

ক্যান্সার মানবদেহে অনেকগুলি কোষ দ্বারা গঠিত এবং এই কোষগুলিতে সর্বদা বিভাজন থাকে। এটি একটি সাধারন প্রক্রিয়া যেখানে শরীর নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠা কোষের রোগটিকে ক্যান্সার বলে। এতে কোষগুলি অনয়ন্ত্রিত হয়ে যায় এবং দেহের বিকাশ ব্যবস্থায় বাধা দেয়। অস্বাভাবিক পরিবর্তন ক্যান্সারের ধরনের কারণ ঘটায়।

ক্যান্সার-কি-ক্যান্সারের-চিকিৎসা

টিউমারের উপস্থিত সমস্ত কোষ এরকম নয়। তবে এটি ক্যান্সার ছড়াতে সহায়তা করে এবং কোষগুলিকে প্রভাবিত করে এবং নতুন টিউমার তৈরি শুরু করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ক্যান্সারে আক্রান্তের মৃত্যুর সংখ্যা সারা বিশ্বে বেশি। ক্যান্সার হালকা ভাবে নেবেন না, তবে যদি আপনি লক্ষণ গুলি দেখতে পান তবে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ ও চিকিৎসা করানো উচিত।

পেজ সূচিপত্রঃ ক্যান্সার কি? ক্যান্সারের চিকিৎসা

ক্যান্সার রোগের মৃত্যুর হার অনেক বেশি
ক্যান্সার-কি-ক্যান্সারের-চিকিৎসা

ক্যান্সার বা কর্কটরোগ অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজন সংক্রান্ত রোগসমূহের সমষ্টি। এখনো পর্যন্ত এই রোগে মৃত্যুর হার অনেক বেশি। কারণ প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সারে রোগ সহজে ধরা পড়ে না। ফলে শেষ পর্যায়ে গিয়ে ভালো কোন চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয় না। বাস্তবিক অর্থে এখনো পর্যন্ত ক্যান্সারের চিকিৎসায় পুরোপুরি কার্যকর কোন ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি। ক্যান্সার সরানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে এই রোগ সারানোর সম্ভাবনা অনেকাংশ বেড়ে যায়। ২০০ প্রকারের ও বেশি ক্যান্সার রয়েছে। প্রত্যেক ক্যান্সারে আলাদা আলাদা এবং এদের চিকিৎসা পদ্ধতি ও আলাদা। বর্তমানে ক্যান্সার নিয়ে প্রচুর গবেষণা হচ্ছে এবং এ সম্পর্কে নতুন নতুন অনেক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

ক্যান্সার রোগের বিভিন্ন কারণ

কি কারনে ক্যান্সার হয় সেটা এখনও নিশ্চিত নয় তবে সাধারণ কিছু কারণ খুঁজে পাওয়া গেছে।

  • বয়স 

সাধারণত বয়স যত বাড়তে থাকে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও তত বাড়তে থাকে, কারণ এই সময়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। এক হিসেবে দেখা যায় যত মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় তাদের শতকরা ৭০ ভাগেরই বয়স ৬০ বছরের ওপর।

  • জ্বর 

ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের সবচেয়ে সাধারণ একটি উপসর্গ হচ্ছে জ্বর। অবশ্য যে স্থানে ক্যান্সার উৎপন্ন হয়েছে সেখান থেকে দেহের অন্যান্য স্থানে ছড়িয়ে পড়া শুরু হলে তখন প্রায় জ্বর দেখা দেয়।

ক্যান্সার আক্রান্ত সবাই কোন না  কোন সময়  জ্বরে ভোগেন। বিশেষ করে যদি ক্যান্সার বা এর চিকিৎসা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর প্রভাব ফেলে তাহলে জ্বর বেশি হয়।

অনেক ক্ষেত্রে জ্বর ক্যান্সারের প্রাথমিক উপ স্বর্গ হতে পারে যেমন লিউকেমিয়া বা লিম্ফোমা। 

  • ক্লান্তি

এখানে ক্লান্তি বলতে বোঝায় চরম ক্লান্তিভাব যা বিশ্রাম নেওয়ার পরও দূর হয় না। ক্যান্সার বাড়ার সাথে সাথে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গ হিসেবে দেখা দিতে পারে।

 কিছু কিছু ক্যান্সার যেমন লিউকেমিয়ার ক্ষেত্রে শুরুর দিকেই ক্লান্তি দেখা দিতে পারে।

 কিছু কোলন বা মলাশয় ও পাকস্থলীর ক্যান্সারের ক্ষেত্রে রক্তপাত হতে পারে তবে এটা সবক্ষেত্রে হয় না। এর কারণে ও ক্যান্সারের সময় ক্লান্তি দেখা দিতে পারে।

  • ত্বকে পরিবর্তন

ত্বকের ক্যান্সার ছাড়াও আরো কিছু ক্যান্সার রয়েছে যাতে আক্রান্ত হলে ত্বকে পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। এর লক্ষণ ও উপসর্গের মধ্যে রয়েছে:

  •  ত্বক কালো হয়ে যাওয়া বা হাইপারপিগমেনটেশন 
  • ত্বক ও চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া বা জন্ডিস
  • ত্বক লাল হয়ে যাওয়া। চুলকানি
  •  মাত্রাতিরিক্ত চুলের বৃদ্ধি

  • >অন্ত্রের ক্রিয়া বা  মুত্রাশয়ের কার্যক্রমে পরিবর্তন 

কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া বা আপনার মলের আকারে দীর্ঘদিন ধরে পরিবর্তন মলাূশয়ে ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। 

অন্যদিকে প্রস্রাব করার সময় ব্যথা, প্রস্রাবে রক্তপাত, বা মূত্রাশয়ের কার্যক্রমে পরিবর্তন যেমন আগের তুলনায় কম বা বেশি প্রস্রাব করা ইত্যাদি মু্ত্রাশয় বা প্রোস্টেট ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।

  • >যে ক্ষত ভালো হয় না

অনেকেই জানেন যে দেহে যদি কোন অচিঁল থাকে যেটি  বাড়ে বা ব্যথা হয় বা সেটি থেকে রক্তপাত হয় তাহলে সেটি ত্বকের ক্যান্সারে একটি লক্ষণ হতে পারে। কিন্তু শরীরের যদি কোন ক্ষত থাকে যেটি চার সপ্তাহের পরও ভালো হয় না বা সেরে যায় না, এমন ক্ষতের প্রতিও আমাদের লক্ষ্য রাখা উচিত।

 মুখে যদি এমন কোন কথা হয় তাহলে সেটি মুখের ক্যান্সারের  হতে পারে। 

 আপনার মুখের যে কোন পরিবর্তন যদি দীর্ঘ সময় ধরে থাকে তাহলে আপনাকে অবশ্যই একজন চিকিৎসক বা ডেন্টিস্টের  পরামর্শ নেওয়া উচিত। 

 শিশ্ন বা জরায়ুতে ক্ষত হয় কোন ধরনের সংক্রমণ কিংবা ক্যান্সারের প্রাথমিক অবস্থার লক্ষণ হতে পারে। এমন অবস্থায় একজন স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারীর পরামর্শ নেওয়া উচিত।

  • রক্তপাত

 ক্যান্সারের ক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থায় কিংবা তা ছড়িয়ে পড়ার পর অস্বাভাবিক রক্তপাত হতে পারে। কাশির সাথে রক্তপাত ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।

 অন্যদিকে যদি মলের সাথে রক্তপাত হয় তাহলে এটি  মলাশয় বা মলদ্বারে ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।

 এনডোমেট্রিয়াম বা জরায়ুর আবরণে সার্ভিকেল ক্যান্সারের কারণে যোনিপথে অস্বাভাবিক রক্তপাত হতে পারে। 

এছাড়া মূত্রের সাথে রক্ত পড়লে সেটি মুত্রাশয় বা কিডনি ক্যান্সারের কারণে হতে পারে। বা স্তনবৃন্ত বা স্তনের বোটা থেকে রক্ত-মিশ্রিত তরল হতে হলে সেটি স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।

  • লিঙ্গ 

সাধারণত: নারীদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে ক্যান্সারের প্রবণতা বেশি দেখা যায়।

  • জিনগত ত্রুটি

লি-ফ্রাউমেনি সিনড্রোম থেকে হাড়ের ক্যান্সার, বেস্ট বা স্তন ক্যান্সার, সফ্ট টিস্যু সারকোমা, মস্তিষ্কের ক্যান্সার ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। অন্যদিকে ডাউন সিনড্রোম নামক জিনগত অসুখ থেকেও নানা রকম ক্যান্সার, যেমন লিউকিমিয়া ব্লাড ক্যান্সার এবং টেস্টিকুলার ক্যান্সার হতে পারে।

  • শরীরে যে কোন স্থান শক্ত হয়ে যাওয়া

অনেক ক্যান্সার ত্বকের মাধ্যমে সনাক্ত করা যেতে পারে এই ধরনের ক্যান্সার সাধারণ স্তন, অন্তকোষ, গ্রন্থি এবং শরীরের নরম টিস্যুতে হয়ে থাকে।

এক্ষেত্রে দেহে শক্ত ভাব বা মাংস জমে আছে এ ধরনের অনুভূতি হয় এটা এসব ক্যান্সারের প্রাথমিক বা বিলম্বিত উপসর্গ হতে পারে।

  • গিলতে অসুবিধা 

ক্রমাগত বদ হজম বা কোন কিছু গিলতে গেলে সমস্যা হলে সেটা ইসোফ্যাগাস, পাকস্থলী বা গলার ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।। 

তবে যাই হোক না কেন এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত সব উপসর্গই ক্যান্সার ছাড়াও অন্য আরো অনেক কারণেই দেখা দিতে পারে। 

  • টানা কাশি বা কণ্ঠস্বরে পরিবর্তন 

টানা কাশি ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কাশি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়া পরিবর্তন আসলে তা স্বরযন্ত্র বা থাইরয়েড গ্রন্থিতে ক্যান্সারের উপস্থিতি নির্দেশ করতে পারে। 

ক্যান্সারের অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি প্রচলিত রয়েছে

ক্যান্সার আপাতদৃষ্টিতে বিপজ্জনক মনে হলেও,  বর্তমানে ক্যান্সারের বিভিন্ন রকম উন্নত ও অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি প্রচলিত রয়েছে। তবে কোন রোগীর ক্ষেত্রে কি ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে, সেই সিদ্ধান্ত সাধারণ: ক্যান্সারের অবস্থান প্রকৃতি বা কোন ধরনের ক্যান্সার এবং ক্যান্সারের বর্তমান অবস্থা অর্থাৎ ক্যান্সার কোন স্টেজে রয়েছে তার ওপর নির্ভর করে।  শরীরে ক্যান্সার কতখানি ছড়িয়ে পড়েছে তার ওপর ক্যান্সারের চিকিৎসা পদ্ধতি নিরূপণ অনেকাংশে নির্ভর করে সাধারণত বেশিরভাগ ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্যই চিকিৎসকেরা সার্জারি বা অপারেশনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ক্যান্সার যদি প্রাথমিক অবস্থায় থাকে, অর্থাৎ বেশি দূরে ছড়িয়ে না পড়ে থাকে, তবে সার্জারি সাধারণত বিশেষভাবে কার্যকরী হয়। সার্জারি ছাড়াও কেমন থেকে রেডিয়েশন থেরাপি ইত্যাদি ক্যান্সারের ক্ষেত্রে কার্যকরী হয় বর্তমানে অনেক ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অর্থাৎ অঙ্কোলজিস্টরা নানা রকম অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি, যেমন হরমোন দেয়া থেরাপি,  ইমিউনিথেরাপি, টার্গেটেড ড্রাগ থেরাপি ইত্যাদির সুপারিশ করে থাকেন। এছাড়াও বোন ম্যারো অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপকের প্রতিস্থাপনকে কিছু কিছু ক্যান্সারের চিকিৎসায় অত্যন্ত কার্যকরী পদ্ধতি হিসেবে গণনা করা হয়।

চিন্তা নেই এই ৫ খাবার নিয়মিত খেলে দূরে থাকবে প্রান ঘাটে ক্যানন্সার 

  • ব্রকলির জুরি মেলা ভার 
    ক্যান্সার-কি-ক্যান্সারের-চিকিৎসা

ব্লকলির মতো একটি অত্যন্ত উপকারী সবথেকে যত দ্রুত সম্ভব ডায়েটে জায়গা করে দিন এই কাজটা করতে পারলে কিন্তু ক্যান্সারের মতো অসুখের থেকেও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা তাদের কথায় রয়েছে নামক একটি উপাদান যা কিনা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি আটকে দিলেও দিতে পারে তাই সুস্থ থাকার ইচ্ছে থাকলে আজ এই রোকনের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে নিন।

  • সুপার ফুড গাজর 
    ক্যান্সার-কি-ক্যান্সারের-চিকিৎসা

আমাদের প্রতি পরিচিত গাজর ও কিন্তু ক্যান্সারের মতো জটিল অসভ প্রতিরোধ করার কাজে সাহায্য করতে পারে। বিশেষত পেটের ক্যান্সারের ফাঁদ এড়াতে চাইলে আজ থেকে ডায়েটে গাজরকে জায়গা করে দিন। কারণ গাজরে এমন কিছু এন্ডিঅক্সিজেন রয়েছে আটকে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে তাইতো বিশেষজ্ঞরা সব বয়সেদের দায়িত গাজরকে জায়গা করে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন।

  • বিনস খেতে ভুলবেন না
    ক্যান্সার-কি-ক্যান্সারের-চিকিৎসা

 বিনসে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার। আর এই উপাদান কিন্তু কোলোরেক্টাল ক্যান্সার প্রতিরোধ করার কাজে সিদ্ধহস্ত। এমনকি একাধিক গবেষণাতেও ইতিমধ্য এই তথ্য প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে বলে জানাচ্ছে হেলথ লাইন। তবে শুধু কোলোরেক্টাল ক্যান্সার নয়, বরং দেহের অঙ্গের ক্যান্সার প্রতিরোধও বিনাশ অত্যন্ত উপকারি। তাই শরীরের সামগ্রিক হাল ফেরাতে  চাইলে নিয়মিত বিনসের রকমারি পদ পাতে রাখার চেষ্টা করুন।

  • বেরি জাতীয় ফলের বিকল্প নেই
    ক্যান্সার-কি-ক্যান্সারের-চিকিৎসা

স্ট্রবেরি ব্ল্যাকবেরি ব্লুবেরি এর মত একাধিক ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আর এই সমস্ত এন্টি অক্সিডেন্ট কিন্তু ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করাতে পারে। ফলে নিয়মিত এসব ফল খেলে যে কর্কট রোগের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা কমবে তা তো বলাই বাহুল্য। আজ থেকে এসব ফলের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে ফেলুন এতেই খেলা ঘুরে যাবে।

  • রোজ একমুঠো বাদাম খান
    ক্যান্সার-কি-ক্যান্সারের-চিকিৎসা

বাদামে রয়েছে অত্যন্ত উপকারী কিছু খনিজ, ভিটামিন এবং ফ্যাট। তাইতো নিয়মিত বাদাম খেলে দেহে প্রদাহের দাপট কমে। আর এই কারণেই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ও হ্রাস পায় বলে ইতিমধ্যে একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে। তাই আর দেরি না করে রোজ এক মুঠো বাদাম খান। তাহলে সুস্থ সবল নিরোগ জীবন কাটাতে পারবেন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পপুলার ড্রিম আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url